ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, চীনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এখন পুরো পৃথিবী স্বীকৃতি দিচ্ছে। সেখান থেকে লেখাপড়া করে আসা শিক্ষার্থীরা অনেক প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী বৃত্তি পাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকার চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই অ্যসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস. এম. এ. ফায়েজ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই অ্যসোসিয়েনের ভাইস চেয়ারম্যান রাকিবুল হক, চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি সুন থাং, সাতারু নাজমুল হক হিমেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এস. এম. এ. ফায়েজ বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা যারা চীনের নামকরা প্রতিষ্ঠান পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, তারা খুব ভাগ্যবান । একটা দেশ হঠাৎ করে বড় হয়ে উঠে না। চীনও তেমন একটি দেশ। তারা সময় মেনে চলে। আপনাদেরও সেখানে প্রতিটি মুহূর্তে কাজে লাগাতে হবে। আজকের কাজ আজকেই করতে হবে। যারা চীন থেকে পড়াশোনা করে আসবেন, তারা নিশ্চয়ই আগামীতে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই অ্যসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান রাকিবুল হক বলেন, ২০১৩ সালে স্কলারশিপ নিয়ে আমি চীনে যাই। আমার ফ্যাকাল্টি থেকে আমিই প্রথম চীনে স্কলারশিপ নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন অনেকেই আমাকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। তবে তখন আমার কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেছিলেন, চীন যেতে। এখন আমি গর্ব করে বলি আমি চীনা গ্র্যাজুয়েট। আপনারা যারা চীনে যাচ্ছেন, মনে রাখবেন, আপনারা বাংলাদেশের দূত। আপনার দেশের সুনাম রাখবেন।
চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি সুন থাং বলেন, আমি এ বছর চীনা স্কলারশিপ সিলেকশন প্রক্রিয়া দেখে আসছি। এ বছর ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এরমধ্যে ৮০ জন সিলেকশন হয়েছেন। আমি মনে রাখি আপনারা বেস্ট অব বেস্ট। আপনাদের চীনে পড়াশোনারা মাধ্যমে চীন বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে বলে প্রত্যাশা করি।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছেন। তাদের জন্য এ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
টিআর/জেএইচ