বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র লন্ডনের ইশারায় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।
ডাকসু বাতিলের ষড়যন্ত্র, নারী হেনস্থা, চবি ও বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবির।
এর আগে দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রশিবিরের নেতারা। পরে মিছিলটি কদম ফোয়ারা, মৎস্যভবন হয়ে শাহবাগ এসে শেষ হয়। সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘোষণার পরপরই একটি কুচক্রী মহল তাদের কালো থাবা নিক্ষেপ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রদলের কথায় চলছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, রাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। কারও সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের মনে গভীর উদ্যোগ সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক ছাত্র শিবিরকে ঠেকানোর জন্য বাম, রাম এবং ছাত্রদল ঐক্যবদ্ধ জোট হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে কীভাবে ছাত্র সংগঠনগুলো চালিত হবে, ছাত্র রাজনীতি কীভাবে পরিচালিত হবে, এই কথাবার্তার কোনো নাম গন্ধ নেই। সারাক্ষণ বুলিং, ট্যাগিং, হ্যারাসমেন্ট করে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থীর বৈধতা নিয়ে রিট করা হয়েছে। রিট করা হলো একটি বিষয় নিয়ে, আর আদেশ হলো ডাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে। কি কারণে, কার ইশারায় এই কাজটা করা হয়েছে? আমরা মনে করছি লন্ডনের ইশারায় এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
হাইকোর্টের আদর্শ চেম্বার জজ স্থগিত করার পর ছাত্রদল ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছে। তাদের আক্ষেপ কেন এটা সমাধান করা হলো? তাদের চক্রান্ত যে বাস্তবায়ন হয়নি এজন্য তাদের আঁতে ঘা লেগেছে, কষ্ট পেয়েছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা কেউ করলে ছাত্রসমাজ তা প্রতিরোধ করবে বলে মন্তব্য করেন নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালের পরে একটি দল ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল। এই সময়ের মধ্যে তারা একটি ক্যাম্পাসেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়নি। তারা আবার নব্বইয়ে ফিরে যেতে চায়। ছাত্রীরা তাদের দেখলে পালায় কথা বলতে চায় না। কেন চায় না এটা নিজেদের কাছে একটু প্রশ্ন করেন? কেমন দানবে পরিণত হয়েছে তোমরা?
ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে সাদ্দাম বলেন, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, গুম, খুন, লোপাটের রাজনীতি যদি তোমরা অব্যাহত রাখো, তাহরে অপেক্ষা করো সময়ের। সময় কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলবে না। ছাত্ররা এখন সচেতন। তারা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবে।
এ সময় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসসি/এমজে