ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫১, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি।

 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ছাড়া সূত্র জানায়, উপজেলাভিত্তিক পরীক্ষার্থীদের তালিকা ও কেন্দ্র তালিকা জেলা কমিটিকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, অনলাইনে ফরম পূরণ চলবে ৫ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত এবং সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ অক্টোবর। প্রশ্নপত্র বণ্টন ও যাচাইকরণের কাজ হবে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র জেলা প্রশাসকদের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে ১০ ডিসেম্বর। ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।  

এতে বলা হয়েছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতে একশ করে, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৫০ নম্বর করে মোট ৪০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা।

গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা ২০২৫ প্রকাশ করে।

নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৮ম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (৭ম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের দুুই ধরনের বৃত্তি দেয়া হবে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের মাধ্যমে অন্য বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে তাকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।