ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকে বেতন নিয়ে হীনমন্যতায় উচ্চ শিক্ষিতরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৪
প্রাথমিকে বেতন নিয়ে হীনমন্যতায় উচ্চ শিক্ষিতরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত ও মেধাবীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসছেন। তবে আর্থিক মর্যাদা না থাকায় তারা হীনমন্যতা ও হতাশায় ভোগেন।

তুলনামূলক বেশি বেতনের চাকরি জোগাড় হলেই তারা আবার এ পেশা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। উচ্চ শিক্ষিত মেধাবীদের এ পেশায় আকৃষ্ট না করতে পারলে প্রাথমিক শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।
 
রোববার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলন ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষকেরা সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।
 
শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, বর্তমান নিয়োগবিধি অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। শিক্ষকতা পেশায় অনভিজ্ঞদের দিয়েই ঊর্ধ্বতন পদ পূরণ করা হচ্ছে।

এজন্য দ্রুত নিয়োগবিধি সংশোধন করে সহকারী শিক্ষক থেকে পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির দাবি জানান তারা।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেন, এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল এমপি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল বাশার।
 
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক  মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বেতনের ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।

এছাড়া সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদন্নোতির জটিলতা দ্রুত নিরসনের দাবি জানান তিনি।

সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নিয়োগ বিধি সংশোধন করে সহকারী শিক্ষক থেকে পরিচালক পর্যন্ত শতভাগ পদোন্নতি পূর্বক প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৮ হাজার, সহকারী  প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ৬ হাজার ৪০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৫ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যেসব দাবি উঠেছে তা পূরণ করতে বর্তমান সরকার আন্তরিক। প্রাথমিক শিক্ষাকে একুশ শতকের যুগোপযোগী করতে হলে, শিক্ষকদেরও সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। সরকারের এ দিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
 
সচিব কাজী আখতার হোসেন জানান, এ পেশায় যাতে মেধাবীরা এগিয়ে আসে সেজন্য আমরা শিক্ষকদের আর্থিক মর্যাদা দিতে চেষ্টা করছি। তবে বর্তমান শিক্ষকরা আগের চেয়ে আর্থিক দিক দিয়ে ভালো আছে বলেও তিনি দাবি করেন।
 
অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা বলেন, উচ্চ শিক্ষিতরা এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন, কিন্তু বেতন কম থাকায় অনেকেই হীনমন্যতায় ভুগছেন।

** প্রধান-সহকারী শিক্ষকদের বেতন ব্যবধান কমানোর দাবি

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।