জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও জালিয়াতির দায়ে ১০ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে জালিয়াতির দায়ে আটক ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভূক্ত ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় বিভিন্ন কক্ষ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের নামে মামলা দিয়ে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে প্রক্সি দেওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষাথী আসপার সাজিদকে আটক করেন কর্তব্যরত শিক্ষক।
এ সময় দোষ স্বীকার করে সাজিদ জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হাসান তাকে প্রক্সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা বলেন। কোনো সমস্যা হলে তিনি দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন।
পরে সাজিদের মুঠোফোনের মাধ্যমে সাকিব হাসানকেও আটক করা হয়।
সাকিব হাসান জানান, শহীদ সালম-বরকত হলের ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাজু তার বন্ধু। তার উপর ভিত্তি করেই তিনি সাজিদকে আশ্বস্ত করেন।
পরে সাকিবের মোবাইলে ফোনের এসএমএস ও কললিস্ট দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়। ইকবালে সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রোকন ও রয়েল ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র শিক্ষার্থী কামাল হোসেনকে আটক করা হয়।
তবে ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাজু এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর অফিসে লিখিত দিয়েছেন।
অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে আরও ৫ ভর্তিচ্ছুকে আটক করা হয়। পরে তাদের উত্তরপত্র বাতিল করা হয় এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪