বগুড়া: শিক্ষা বোর্ডের প্রোগ্রামারের পদে কর্মরত ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন অসাধু শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তার যোগসাজশে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ফলাফল কারসাজির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বিষয়টির এখনই প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লিখিত অভিযোগ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেসরকারি পলটেকনিক শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে কর্মরত শিক্ষক মো. আক্তারুজ্জমান।
তিনি জানান, এখনই এ ধরনের অসাধু শিক্ষক ও বোর্ডের কর্তকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জবাবদিহি করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, শিক্ষাসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যুগ্মসচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছেন মো. আক্তারুজ্জমান।
২০ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে ডাকযোগে পাঠানো অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে প্রকাশিত ফলাফলে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের অনেক অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কতিপয় অসাধু শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তার যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে পাস করিয়ে নেন।
একই রকম ঘটনা ঘটেছে ওই বছরের ৫ মে তারিখে প্রকাশ হওয়া ফলাফলেও।
বেআইনি ও অবৈধভাবে ফলাফল কারসাজির এমন ঘটনা দেশের জন্য ও দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষক আক্তারুজ্জামান।
দেশের ভাবমূর্তি ঠিক রাখাসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধা বিকাশের স্বার্থে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের দ্রুত চাকরিচ্যুত করাসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫