ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভিকারুন নিসার অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম

আমাদের টার্গেট সম্মিলিত মেধায় প্রথম হওয়া

শরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১১
আমাদের টার্গেট সম্মিলিত মেধায় প্রথম হওয়া

ঢাকা: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০১১,ঢাকা বোর্ড তথা সারাদেশে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্মিলিত ২য় ও মেয়েদের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেছে। শিক্ষক শিক্ষার্থী সবাইকে এ সাফল্যের কৃত্বিত্ব ভাগ করে দিয়ে আগামীতে আরো ভাল ফলাফল করে সম্মিলিত মেধাতালিকাতেই ১ম হওয়ার লক্ষের কথা জানিয়েছেন ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম।



বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমের কক্ষে প্রবেশ করতেই তাকে দেখা যায় মেয়েদের ভাল ফলাফলে হাসিখুশি, উচ্ছ্বসিত। সোনার মেয়েদের সোনার সাফল্যে একে একে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ শুভানুধ্যায়ীরা ।

সম্মিলিত মেধাতালিকায় ২য় ও মেয়েদের মধ্যে ১ম। স্কুলের এমন ভালো রেজাল্টের অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম, ২য় ও ৩য়’র মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। আমরা সৌভাগ্যবান যে  আমরা মেধাতালিকায় আছি। গতবারের তুলনায় আমাদের ফলাফল ছিলো চোখে পড়ার মতো, সম্মিলিত ৪র্থ থেকে ২য় ও মেয়েদের মধ্যে ২য় থেকে ১ম। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভাল ফলের এই মানটা ধরে রেখে আগামীতে আরো ভাল করে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম হওয়া। ’

তবে এই ফলাফল তিনি একক কৃত্বিত্ব দাবি না করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকে যেকোনও মূল্যে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে হবে, নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এজন্য শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকরা যে শিক্ষাটা দিয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা তা পুরোটা অনুসরণ করে। তাই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ভাল রেজাল্ট এসেছে। ’

‘এবার বিজ্ঞান বিভাগের রসায়ন বিষয়ের প্রশ্ন খারাপ হওয়ায় ফলে তার প্রভাব পড়েছে। তারপরও আপনাদের এতো ভালো ফলাফলের রহস্য কী’ --জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্রেণীকক্ষে এমন ভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় যাতে আমাদের মেয়েরা যে কোন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ভাল পরীক্ষা দিতে পারে। এছাড়া আমরা আমাদের শিক্ষকদের মান উন্নয়নে ভালো প্রশিক্ষণ দিই ।   সেটা যথাযথ প্রয়োগের ফলেই আমাদের সফলতা এসেছে। ’

এবারে এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলের চারটি শাখার তিনটি বিভাগ থেকে মোট ১২২৭ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০৫০ জন, এ গ্রেড পেয়েছে ১৭৫ জন ও বাকি ২জন অসুস্থতার জন্য পরীক্ষা দেয়নি। প্রকাশিত ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৮০৫ জনের মধ্যে ৭৬৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২৮ জনের মধ্যে ২৭৪ জন ও মানবিক বিভাগ থেকে ৯৪ জনের মধ্যে ১৩ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।  

স্কুলের এমন ফলাফল উল্লেখ করে তিনি বাংলানিউজকে আরো বলেন, সরকার থেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিজেদের কৌশলগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা আগামীতে আরো ভাল ফল করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১২ এপ্রিল ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।