ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দাবি না মানলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫
দাবি না মানলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

গোপালগঞ্জ: প্রস্তাবিত অষ্টম পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন স্কেল পুনর্নির্ধারণের দাবিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি অবস্থান ধর্মঘট ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছে। ঘোষণা এসেছে, দাবি না মানা হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামীতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হবে।



বশেমুরবিপ্রবি’র কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের আলোচনায় যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তা ফেডারেশন নেতাদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে, (১.) সরকার যদি স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদানের মাধ্যমে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের দমাতে গিয়ে ‘সফল’ হয়, তাহলে সারাদেশের সাধারণ শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এমন আশঙ্কা থেকে সাধারণ শিক্ষকরা স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়নের আগে কোনোভাবেই আন্দোলন থেকে পিছু হঠতে রাজি নন।

(২.) আন্দোলনরত শিক্ষকরা মনে করেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সারাদেশের শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবি পূরণের জন্য প্রয়োজনে জাতীয়ভাবে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে। শিক্ষকরা বিশ্বাস করেন, চলমান আন্দোলনে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে যে চেতনা ও জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে ফেডারেশন দাবি বস্তবায়নের জন্য আরও এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

(৩.) ফেডারেশন আকাঙ্ক্ষা পূরণে সফল না হলে বাংলাদেশের যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উল্লেখিত দাবির পক্ষে আপোষহীন আন্দোলন গড়ে ওঠা উচিত বলেও কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষকরা মনে করেন।

(৪.) বৃহত্তর কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিছু কর্মকৌশলগুলো বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষকদের। যার মধ্যে (ক.) দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত একযোগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা।

(খ.) ইতোমধ্যে ফেডারেশনকর্তৃক ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনতিবিলম্বে জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করে লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণ করার বাস্তবতা এখন সময়ের দাবি।

(গ.) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে শিক্ষকদের এসব দাবির পক্ষে ব্যাপকভাবে জাতীয় সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

উল্লেখ্য, অষ্টম পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন স্কেল পুনরায় নির্ধারণ ও ঘোষিত চার দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। গত ৩০ আগস্ট তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
আইএ

** পে-স্কেল পুনর্নির্ধারণের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি’তে কর্মবিরতি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।