ঢাকা: সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোতে গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীতসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা ছিল তা বাস্তবায়নসহ চার দফা প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির এক সপ্তাহের মাথায় রোববার (১৭ জানুয়ারি) ফেডারেশনের সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এএসএম মাকসুদ কামালের উপস্থিতিতে এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হলে সকাল ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ফেডারেশনের মহাসচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বাংলানিউজকে বলেন, সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন তা বহাল করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। সিলেকশন গ্রেড বহাল না হলেও শিক্ষকরা গ্রেড-৩ এ যেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবেন।
গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সুনির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়ার উপর ভিত্তি করে উপরের ধাপে (সিনিয়র সচিবের) পদমর্যাদা প্রদানের প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সুপার গ্রেড প্রদানের জন্য প্রস্তাব করেছে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
পাশাপাশি তরুণ শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর শিক্ষার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু বৃত্তি’ চালু ও গবেষণার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
বৃত্তি ও গবেষণার সুযোগের জন্য প্রস্তাবের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন মাকসুদ কামাল।
মর্যাদা ও বেতন প্রশ্নে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনের পর গত ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
কর্মবিরতির কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস বন্ধ রয়েছে, রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা হলেও নতুন করে আর রুটিন দেওয়া হয়নি।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান মাকসুদ কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬/আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস
** সপ্তাহ গড়ালো শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি