ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘কৃষিবিদদের সম্মানে কাজ করে যাব’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
‘কৃষিবিদদের সম্মানে কাজ করে যাব’

ঢাকা: কৃষিবিদদের পেশাজীবী সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) ২০১৭-১৮ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হয়েছেন কৃষিবিদ এ এম এম সালেহ। 

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি কৃষিবিদদের এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে তার ভাবনা, রাজনৈতিক জীবনের উত্থানসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য আলোচনার খণ্ডাংশ তুলে ধরা হলো।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিদায়ী কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সালেহ বলেন, কেআইবি’র সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় মনে হচ্ছে জীবনে সফলতার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি।

নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, বর্তমানে ২৬ হাজার রেজিস্টার্ড কৃষিবিদ আছেন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে একটি অনলাইন ডাটাবেসের আওতায় আনবো। প্রতি মাসে সেমিনার করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের একটি আন্তর্জাতিক জার্নাল আছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে আমরা তা প্রকাশের ব্যবস্থা করবো। এরপর প্রতি ৬ মাস পর পর প্রকাশের ব্যবস্থা করবো।  

তিনি বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন কৃষিবিদরা নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করতেন। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন কৃষিবিদদের অর্জিত সম্মান বাড়াতে কাজ করতে হবে। সভাপতি হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য এটাই হবে আমার চ্যালেঞ্জ।  

রাজনৈতিক জীবনের স্মরণীয় ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমার একটা সুখস্মৃতি আছে। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাই। তৎকালীন সরকারের দমন নিপীড়নের মধ্যেও ছাত্র সংসদে জয়লাভ করায় তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন।  

রাজনীতিতে আদর্শ ও অনুপ্রেরণা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কলেজে থাকাবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অনেকবার দেখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার রাজনৈতিক আদর্শ।

স্বাধীনতার পর কলেজে পড়ার সময়ে রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় হন সালেহ। কলেজ জীবন নিয়ে তিনি বলেন, আমি কলেজে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ শুরু করি। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে ছাত্রলীগ সমর্থকরা জয়ী হয়।

১৯৭৬ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ভর্তি হই। তখন এর নাম ছিল বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনিস্টিটিউট (বিএআই)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর শেকৃবিতে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি ছিল না। আমি ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করি। প্রথম বর্ষেই শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
আরআর/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।