ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কলেজে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩০ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১০

ঢাকা : চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীা গ্রহণ করা হবে না। এসএসসি ও সমমান পরীার ফলাফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একাদশ শ্রেণীর ভর্তি নীতিমালায় এমনটাই বলা হয়েছে। ভর্তির আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ ১০ জুন।
    
প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া শিার্থীর েেত্র সকল বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৪৩ পয়েন্ট ধরে ক্রমান্বয়ে ৪০ পয়েন্ট পাওয়া প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিজ্ঞান বিভাগে সম পয়েন্ট অর্জনের বিষয় নিষ্পত্তির জন্য সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে ৫ পয়েন্ট পাওয়াদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাতে সমস্যা সমাধান না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট অগ্রাধিকার পাবে। একইভাবে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের েেত্র পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির েেত্র মোট পয়েন্ট সমান হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে। তাতেও নিষ্পত্তি না হলে সংশ্লিষ্ট শিা প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব শিা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে প্রার্থীদের পারস্পরিক মেধাক্রম সংগ্রহ করে প্রার্থী বাছাই করবেন। এ সংক্রান্ত সব ধরনের নির্দেশনা www.educationboard.gov.bd ও www.dhakaeducationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে যথাসময়ে জানানো হবে। ই-মেইলে যোগাযোগের জন্য ssa@dhakaeducationboard.gov.bd ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে।

নীতিমালায় যা-ই থাকুক নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। সমমেধার প্রার্থী বাছাইয়ের েেত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
    
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় ও জেলা সদরের কলেজসমূহে ভর্তির েেত্র সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮৮% আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং বাকী ১২% আসনের মধ্যে ৭% বিভাগীয় সদরের বাইরের যে কোনো অঞ্চলের শিার্থীদের জন্য ও ৫% মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বা পোষ্যদের জন্য সংরতি থাকবে।

২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের পরীায় উত্তীর্ণরাই কলেজে ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। সকল কলেজ ১৭ জুন একযোগে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে। ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বরপত্র ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্র দাখিল করতে হবে। তবে প্রার্থী অন্য কোনো কলেজে ভর্তি হতে চাইলে তার ভর্তি বাতিলপূর্বক জমাকৃত মূল ট্রান্সক্রিপ্ট ফেরত দেয়া হবে।
    
এতে আরো বলা হয়েছে, কলেজ কর্তৃপকে ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ভর্তির সকল কার্যক্রমও যথাসম্ভব অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। কারিগরি শিার ডিপ্লোমা কোর্সসমূহে ভর্তির েেত্র লিখিত পরীা (৫০% নম্বর) ও জিপিএ (৫০%) ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদনপত্র বাবদ ১০ টাকা ও ভর্তি ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ৫০ টাকা গ্রহণ করা যাবে। ভর্তির সময় শিা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা, ক্রীড়া ফি ২৫ টাকা, রোভার স্কাউট বা গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৫ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, শাখা বা বিষয় পরিবর্তন ফি ২৫ টাকা গ্রহণ করা হবে।   পাঠ বিরতি ফি ১০০ টাকা ও বিলম্ব ভর্তি ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ ২৮ জুন, বিলম্ব ফিসহ ভর্তি ও ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ ১১ জুলাই। আর কাস শুরু হবে ১ জুলাই।
    
উল্লিখিত নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকারি কলেজের েেত্র পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ এমপিও বাতিল করা হবে। সরকারি কলেজের েেত্র সংশ্লিষ্ট অধ্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬২৩ ঘন্টা, ২ জুন ২০১০
পিআইডি/এএইচএস/জেএম                                                                              

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।