ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকদের চলচ্চিত্রে শান্তি-সহিষ্ণুতার বাণী, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
শিক্ষকদের চলচ্চিত্রে শান্তি-সহিষ্ণুতার বাণী, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বক্তব্য রাখছেন আইইউবি উপাচার্য ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সহজ-সরল এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ফেলে এক উগ্রবাদী যুবক। ছেলেটির পরিকল্পনাই ছিল, সেই মেয়েকে দিয়ে আত্মঘাতি বোমা হামলা করানো। একদিন সফলও হয় সে, মেয়েটি শরীরে বোমা বেঁধে যায় রেস্টুরেন্টে তবে আর বিস্ফোরণ ঘটায় না।

কারণ সেখানে গিয়ে টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজে দেখে- দেশের অন্যত্র বিস্ফোরিত সিরিজ বোমায় মানুষের মৃত্যু-রক্ত-ভয়াবহতা। যাতে সে বিচলতি হয়ে ফিরে আসে সজ্ঞানে।

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে বোম ফেলে দেয় আস্তাকুড়ে।

এমনই কাহিনী নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ডিয়াগো ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) যৌথ উদ্যোগে যা নির্মিত হয়েছে। ‘শান্তি ও সংহতির জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ ও টেলিভিশন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের আয়োতায় এই কর্মযজ্ঞ। গত দুইবার স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন হয়ে থাকলেও এবার তৃতীয়বার অংশ নেন মূলত শিক্ষকরা। কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে হয়েছে চলচ্চিত্র।

এবছর ১৭ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবি ক্যাম্পাসে হয়েছে সমাপণী অনুষ্ঠান। এতেই উঠে আসে চলচ্চিত্র দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জঙ্গিবাদ দমনের নানা কথন। শেষে হয় সনদ বিতরণ।

স্বাগত বক্তব্য দেন মিডিয়া, কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান ড. জি এম শহিদুল আলম। তিনি বলেন, তিন বছর আগে আমাদের এই যাত্রা শুরু। তখন থেকেই ৫টি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গবেষণা কার্য পরিচালিত হচ্ছে। সে যে ভাষারই ছবি হোক বিশ্বব্যাপী এর ভাষা একটাই। চলচ্চিত্র মানুষের মনন ও হৃদয়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম; যার মাধ্যমেই হবে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সহিষ্ণুতার চর্চা। আমরা সেটাই বিশ্বাস করি।
বক্তব্য রাখছেন মিডিয়া, কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান ড. জি এম শহিদুল আলম, ছবি: বাংলানিউজএরপর বক্তব্য রাখেন স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন ড. মাহবুব আলম। শেষে পুরো আয়োজনের সফলার কথা জানিয়ে কথা বলেন, আইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক এম ওমর এজাজ রহমান। বলেন, এখনকার যুগ অসহিষ্ণুতার। কিন্তু চলচ্চিত্র হতে পারে সহিষ্ণুতার একটি ধারা; এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আইইউবির মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া একত্রে কাজ করেছে। জঙ্গিবাদের ভুল পথে যেন আমাদের সন্তানরা ঝুঁকে না যায়- কেন তারা ঝুঁকছে এটা বোঝা অতি সহজ বিষয় নয়। এ জন্য গবেষণা দরকার, সিনেমা এবং মিডিয়া দিয়ে সেই গবেষণা আমরা চালিয়েছি। সর্বোপরি আয়োজনের সফলতা কামনা করি।

দেশের সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রে নিয়ে কাজ করতে পারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন উপাচার্য। বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে; যদিও আমরা তা তেমন একটা করি না।

সব শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ করা হয়। এতে একে একে সনদ গ্রহণ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনা খাতুন ও মো. আসাদুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল্লাহিল বাকী ও ড. মোজাম্মেল হোসেন (তিনি পরিচালক ছিলেন), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোরশেদুল ইসলাম ও সায়মা আলম, আইইউবির জেলিনা ইসলাম আবির, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আফতাব হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম।

পুরো আয়োজনের সমন্বয়ে ছিলেন বিভাগের শিক্ষক মাসুদ চৌধুরী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।