রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত উপাচার্যের আশায় খাবার নিয়ে বসেছিলেন তাকে নিমন্ত্রণ জানানো শিক্ষার্থীরা। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও কোনো খবর এলো না উপাচার্যের কার্যালয় থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি ও দাম কমানোর দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করে আসছে ছাত্র ইউনিয়ন। এরই ধারাবাহিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেমন নিম্নমানের খাবার খেয়ে থাকেন তা দেখানোর জন্য জবি উপাচার্যকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিমন্ত্রণ জানান আন্দোলনকারীরা।
নিমন্ত্রণের জবাবে উপাচার্য তাদের জানিয়ে দেন, তার ক্যান্টিনে তিনি যখন খুশি তখন আসবেন। শিক্ষার্থীদের নিমন্ত্রণ গ্রহণের কিছু নেই। শেষতক তিনি আসেনওনি নিমন্ত্রণে।
নিমন্ত্রণ জানিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় জবি ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, “আমাদের কি কোনো আত্মমর্যাদা নেই? আমরা কি কোনো মানুষ নই? তিনিও (উপাচার্য) কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছিলেন। তবে কেন তিনি আমাদের সঙ্গে বসে খাবার খেতে পারবেন না?”রুহুল আমিন বলেন, “যদি আমাদের এই ন্যায্য দাবি (খাবারে মানোন্নয়ন ও ভর্তুকি) না মানা হয়, তবে জবি শিক্ষার্থীরা যে কতো কঠোর হতে পারে তা জবি প্রশাসন দেখবে। ”
এ বিষয়ে জবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আল-আমিন বলেন, “আমরা গত বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারি ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভিসি স্যারের কাছে যাই। তাকে ক্যান্টিনে আমাদের সঙ্গে একবেলা খাবারের নিমন্ত্রণ দিতে, উত্তরে তিনি (উপাচার্য) বলেন, ‘তুমি মাত্র ৪ জন নিয়ে এসেছো আমাকে আমন্ত্রণ দিতে?’ আর তোমরা বললে বা আমি খেতে যাব কেন?”
পরে ক্যান্টিনের খাবারের নিমন্ত্রণে উপাচার্যের না আসার প্রতিবাদে জবি ছাত্র ইউনিয়ন আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে চিত্রাঙ্কন ও গান পরিবেশনের ঘোষণা দেয়।
পাশাপাশি আগামী রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকের সামনে খাবার নিয়ে অপেক্ষা করা হবে বলেও ঘোষণা দেন ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
ডিআর/এইচএ/