শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) হলের ডাইনিংয়ের বাবুর্চি অনিল সাহা প্রভোস্ট শাহেদুল হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। পাশাপাশি হল কর্মকর্তা আমিরুল হক চৌধুরী এবং উচ্চমান সহকারী বদরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন অনিল।
গত কোরবানির ঈদের পর হলে ‘ফাও খাওয়ার অভিযোগ’ তুলে প্রায় দুই সপ্তাহ ডাইনিং বন্ধ রাখেন তৎকালীন বাবুর্চি হাবিবুর রহমান। এরপর বাবুর্চি হিসেবে নিয়োগ পান অনিল সাহা।
অনিলের দাবি, কোনো আলোচনা ছাড়াই তখন খাবারের দাম ২০ টাকা থেকে ২২ টাকা করেন শাহেদুল। কিন্তু খাবারের মিল হিসাব করে অতিরিক্ত ২ টাকা আদায় করে নিতে থাকেন প্রভোস্ট।
বাবুর্চি অনিল বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় প্রভোস্ট শুক্রবার থেকে মিলের হিসাব রেখে টাকা আদায়ে টোকেন সিস্টেম চালু করেন।
বিষয়টি প্রভোস্ট শাহেদুল হোসেন স্বীকার করলেও হলের সহকারী প্রভোস্টরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। আবার দুই টাকা দিয়ে শাহেদুল হোসেন ফান্ড গঠনের দাবি করলেও এমন কোনো ফান্ডের অস্তিত্ব সম্পর্কে কেউ কিছুই জানেন না বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আমিরুল এবং বদরুলের কাছে চাঁদা আদায় ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা প্রভোস্টর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও প্রভোস্ট ফোন রিসিভ করেননি।
সহকারী প্রভোস্ট আশিষ কুমার বণিক, কৌশিক সাহা, মোহাম্মদ জাবেদ কায়সার ইবনে রহমান এবং মো. ফেরদৌস আলম প্রত্যেকেই দুই টাকা নিয়ে ফান্ড গঠনের বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন বাংলানিউজের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
জিপি/এইচএ