ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির গ্রন্থাগারে পুরনো পত্রিকার ডিজিটাল আর্কাইভ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
ঢাবির গ্রন্থাগারে পুরনো পত্রিকার ডিজিটাল আর্কাইভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গ্রন্থাগারের অন্যতম বিশেষত্ব হলো পুরনো পত্রিকার আর্কাইভ। এখানে এমন পত্রিকার কপিও রয়েছে যা বর্তমানে ওই পত্রিকার অফিসেও সংরক্ষিত নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন একাডেমিক ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্লভ কপিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো।

আর এসব মূল্যবান পত্রিকার কপি যেন না নষ্ট হয় সেজন্য ১৯৫৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সালের ৩৭টি পত্রিকার কপি নিয়ে ডিজিটাল আর্কাইভ করা হয়েছে।

সহকারী গ্রন্থগারিক মো. নোমান হোসেন (প্রশাসন) বাংলানিউজকে জানান, বিশ্বব্যাংকের ৩৭ কোটি টাকা অর্থায়নে গ্রন্থাগারের মূল ফটকের আধুনিকায়ন, নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন, ফায়ার এলার্মিং স্থাপন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন, রেয়ার বুক ডিজিটালাইজেশন ও পত্রিকার পুরনো কপি ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে।

‘পুরনো পত্রিকার এ কপিগুলো স্ক্যান করে পিডিএফ করে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন মতো গ্রন্থাগারের ভেতরে এটি ব্যবহার করতে পারবেন’।

গ্রন্থাগার সূত্রে জানা যায়, যেসব পত্রিকাগুলোর স্ক্যান করা কপি পাওয়া যাবে সেগুলো হলো- আজকের কাগজ ১৯৯১-২০০৭, আওয়াজ ১৯৬৫-১৯৬৮, আজাদ ১৯৫৬-১৯৯১, আজাদ বাণী ১৯৯১-৯২, দৈনিক আজাদী ১৯৬১-১৯৮৫, দৈনিক বাংলা ১৯৮৪ ও ১৯৯৭, দৈনিক বাংলাদেশ ১৯৭৪-১৯৯১, দৈনিক গণদেশ ১৯৭৯-১৯৮৫, দৈনিক ইনসাফ ১৯৬৫ ও ১৯৬৬, দৈনিক খবর ১৯৮৪-৯২, দৈনিক মিল্লাত ১৯৮৯, দৈনিক পয়গাম ১৯৬৫, দৈনিক উত্তরবার্তা ১৯৮৩-৮৯, দৈনিক দিনকাল ১৯৯৭-২০০৭, দৈনিক পাকিস্তান ১৯৬৯ ও ১৯৭১, ইনকিলাব ১৯৮৬-৯০, ইত্তেফাক ১৯৫৬-২০১৩, জনতা ১৯৮৯, যুগান্তর ২০০১-১৪, কালের কণ্ঠ ২০১০-১২, মর্নিং নিউজ ১৯৫৬-৭১, পাক সমাচার ১৯৬৯, প্রথম আলো ২০০১-১২, পূর্বদেশ ১৯৬৪-৭৪, সংবাদ ১৯৫৭-২০১৩, সংগ্রাম ১৯৭০-৯০, দ্যা বাংলাদেশ টাইমস ১৯৭৫-৮৮, দ্যা স্টেটম্যান ১৯৪৮-৫৯, বাংলার বাণী ১৯৭৩-৯২, পিপল ১৯৭১-৭৫, দ্যা ডেইলি স্টার ২০০৯-১১, জনকণ্ঠ ১৯৯৭-২০১৩, পাকিস্তান অবজারভার ১৯৫৬-৭১, সমকাল ২০০৮-১২, বাংলাদেশ অবজারভার ১৯৭২-২০০৮, ডেইলি স্টার ১৯৯১-২০০৭, ডন ১৯৫৫-৭০, ইংলিশ ম্যান ১৯৩২। এসব পত্রিকার স্ক্যান করা কপির সংখ্যা ১২ লাখ ৫৮ হাজার ১১৬টি।

এ বিষয়ে গ্রন্থগারিক অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, পত্রিকার ডিজিটালাইজেশন করা অত্যন্ত জরুরি ছিলো। দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধ বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হলে একটি পত্রিকার উপর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে পত্রিকাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। প্রকল্পের জন্য যা বরাদ্দ ছিলো, তা আমরা শেষ করেছি। কিন্তু সবগুলো পত্রিকার কপি এখনো স্ক্যান করা সম্ভব হয়নি। তবে এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

এটিকে শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগারের বাইরে অনলাইনে ব্যবহার করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কপিরাইট আইনের বিষয়টির জন্য আপাতত আমরা এটি অনলাইনে ছেড়ে দেবো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য সহজে ব্যবহারের জন্য আমরা বিষয়টি ভেবে দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এসকেবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।