ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতে পরীক্ষায় পরিকল্পিত ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
ঢাবিতে পরীক্ষায় পরিকল্পিত ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ! প্রকাশিত ফলাফলের তালিকা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ২০১৬ সালের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে ফল বিপর্যয় করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গত ১০ জানুয়ারি (বুধবার) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৪০ শিক্ষার্থী।

কিন্তু উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ১২ জন। ফেল করেছেন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী। এমন ফলাফল এই ইনস্টিটিউটে কখনো হয়নি।

এই বিপর্যয়ের পেছনে অভিযুক্ত বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হাসান।

এ বিষয়ে বিভাগ সূত্র জানায়, ওই বর্ষের ৪০৯ নং কোর্সটি নিতেন ড. নাজমুল। তিনি ৩৫ নম্বরের মিডটার্ম না নিয়ে রিপোর্ট ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে নম্বর দেওয়ার কথা বলেন। শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। পরিচালক মিডটার্ম নিতে বলেন ড. নাজমুলকে। এ নিয়ে ড. নাজমুল ক্ষুব্ধ হন। পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ‘দেখে নেওয়ার’ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরিচালকের কথায় পরীক্ষা নিলেও কোর্স শিক্ষক নাজমুল ‘কঠিন’ প্রশ্ন করেন। এতে পরীক্ষায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী খারাপ করেন। দুই পরীক্ষায়ই তিনি সমান ধরনের প্রশ্ন করেন। এছাড়া ফাইনাল পরীক্ষায় তিন নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্নে ২০টি এমন প্রশ্ন করেন, যেসব বিষয়ের সঙ্গে কোর্সের কোনো শিক্ষার্থীই পরিচিত নন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্যার মিডটার্ম  নিতে চাননি, যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে। পরবর্তীতে দু’টি মিডটার্ম নেন। সেখানে ৩৫ নম্বরের মধ্যে অনেকেই কম মার্ক পেয়েছিলো। তাই অনার্স ফাইনাল শেষ হওয়ার পর পরিচালক ম্যাম অনেক রিকোয়েস্ট করে দু’টি মিডটার্ম আবার নিতে বলেন স্যারকে। তিনি নিয়েছিলেন, কিন্তু রেজাল্ট আগেরটার চেয়েও খারাপ করে দিয়েছেন। ’

এমন ফল বিপর্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন।

এ বিষয়ে বাংলানিউজের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

তবে ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হয়েছে, কোনো ছাত্র এক বিষয়ে খারাপ করলে তার ফল প্রকাশিত হয় না। চতুর্থ বর্ষে কিছু ছাত্রের এই রকম হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা কমিটিতে গেছে, অতিদ্রুত নিরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।

একটা কোর্সে এতো বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীর খারাপ করার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এটার জন্য তারা আবেদন করবে, আমরা আবার পরীক্ষা নেবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আমরা দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।