ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বৃহস্পতিবার শুরু এসএসসি, আসনে ৩০ মিনিট আগেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
বৃহস্পতিবার শুরু এসএসসি, আসনে ৩০ মিনিট আগেই এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা (ফাইল ছবি)

ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নজিরবিহীন কড়া পরিবেশের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে বসছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।

প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আসনে বসতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ধানমন্ডিতে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন। আর শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী মোহাম্মদপুরে কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসা ও শ্যামলী আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার খাম ৩০ মিনিট আগে কেউ খুলতে পারবে না।

সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার দিনগুলোতে সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখা হবে কি হবে না- তা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তায় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

প্রশ্ন ফাঁস বা গুজব সৃষ্টিকারীদের সতর্ক করে নাহিদ বলেন, দুষ্কৃতিকারীদের ধরিয়ে দেবেন বা প্রতিহত করবেন যাতে সমাজে শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে।

কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

শিক্ষা বোর্ডসমূহের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রগুলোর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।

গতবছর এসএসসি ও সমামানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। গতবছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বীয় বিষয়ের ২৪ দিনে ১৭ দিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকালে ১০টা থেকে বেলা ১টা এবং বিকেলে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হবে।

এ বছর সারাদেশে অভিন্ন ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়সমূহ এনসিটিবি’র নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে প্রেরণ করবে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।