ঘটনা ঘটেছে জেলার কালকিনির খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকরা।
অভিযোগপত্র ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে ৩৬ জনের ফরম পূরণের কেন্দ্র ফি জমা দেওয়া হয়নি। এজন্য তাদের প্রবেশপত্রও আসেনি। অথচ এই ৩৬ জনের ফরম পূরণের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্র জানায়, চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের ২৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪০ জনের প্রবেশপত্র এসেছে। এদের সবাই টেস্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে। এছাড়া বাকি ১০৫ জনের মধ্যে ৩৬ জনের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা হলেও সরকারি ফি জমা না দেওয়ায় তাদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আসেনি।
শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, আমার ছেলের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য টাকা জমা নিয়ে গত মঙ্গলবার তা ফেরত দিয়েছে। এটা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দুর্নীতি, এর বিচার হওয়া উচিৎ।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা টেস্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে, তাদের ফরম পূরণ করা হয়েছে। বাকিদের কেন ফরম পূরণ করা হয়নি, এটা কমিটির লোকজন বলতে পারবে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছি। অভিভাবকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ইউএনও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি ওই শিক্ষক অন্যায় করেন তাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
জেডএস