বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উদ্যোগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শোভাযাত্রাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রাটি খুবির কবি জীবনানন্দ দাস একাডেমিক ভবন ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন চত্বর থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আমাদের আশান্বিত করেছে। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, লন্ডনের মতো জায়গায় বই পাঠকের সংখ্যা হতাশাজনক হারে হ্রাস পেলেও গ্রন্থাগার দিবসকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বিপুল উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী। এখানে গ্রন্থচর্চার হার বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, বই মানুষের পরম বন্ধু, যে বন্ধু কখনও প্রতারণা করে না। বইয়ের মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান লাভ করে, জ্ঞানের আলোয় নতুন পথের সন্ধান পায়, জীবনের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে সময় কাটানোর মাধ্যমে জ্ঞানলাভের জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তিনি আগামী বছর দিবসটি আরও বড় পরিসরে পালনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের উদ্যোগে আগামী মার্চে ক্যাম্পাসে বইমেলার আয়োজন করা হবে বলে জানান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এমআরএম/আরআর