বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রমোশনসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পার বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে পরিসংখ্যান, মার্কেটিং ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ইতিহাসে এবারই লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সনদপত্র এবং মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৫০ নম্বর রাখা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে অর্থনীতি বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় সহকারী অধ্যাপক পদে ১টি এবং প্রভাষক পদে ৪টি শূন্য পদের বিপরীতে মোট ৬৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে মোট ২৭ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) পরিসংখ্যান বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। প্রভাষক পদে দুইটি পদের বিপরীতে ৪১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে ১৩ জন প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও মার্কেটিং বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক পদে ৩টি শূন্য পদের বিপরীতে ৪১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে মোট ২১ জন প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ১টি সহকারী অধ্যাপক এবং ৩টি প্রভাষক পদের বিপরীতে মোট ৯৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৩৬ জন অংশগ্রহণ করেন।
নিয়োগ বোর্ডে সর্বোচ্চ নম্বরধারী প্রার্থীদের ২৩৮তম সিন্ডিকেটে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার গুঞ্জন পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে বেশকিছু প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বেশকিছু শিক্ষক নেতারা। আর যদি তাই হয়, তাহলে মেধাবীদের উপেক্ষা করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যাবেন। ’
তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবে প্রশাসন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ