সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগ ও 'দ্য ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড কালচার, তুর্কি’র যৌথ উদ্যোগে ১ম আন্তর্জাতিক নুরসী সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘লিভিং ইন পিচ অ্যান্ড হারমনি: দি রিসালা-ই নূর পারসপেক্টিভ’।
অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করাই ছিল নুরসীর আদর্শ। এখন ধর্মের নামে সারাবিশ্বে মানুষ হত্যা হচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের ইন্ধনে আইএস মুসলিম হয়েও মুসলিম হত্যা করছে। আমাদের সন্ত্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ইসলামের শান্তি ও সংহতির দর্শন প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। ধর্মীয় গোঁড়ামি কিংবা চরমপন্থার কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেয় না, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান। ’
তুরস্কের সঙ্গে ভবিষ্যতে যৌথ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘তুরস্কসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে গবেষণাসহ যেকোনো যৌথ কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময়ই আগ্রহী। ’
আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউছুফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তুরস্ক বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য এবং তুরস্কের উসকুদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলপার্সলান একচিগেন্স।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্য ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড কালচারের পরিচালক সেইট ইউসি এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম অজতুর্ক, কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজাহান মিয়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের আলিয়াহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউর রহমান, আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ড. এলমাইরা আখমেতোভা, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র প্রফেসর ড. সাঈদ ফরিদ আলআতাস এবং তুর্কির প্রফেসর ড. ইসহাক অজগেল।
সম্মেলন শুরুতে বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের মহাসচিব ড. আব্দুল্লাহ আল-মা’রূফ।
এ সম্মেলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন দ্য ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড কালচার, তুর্কির সমন্বয়ক ড. হাকান গোলরজ।
বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও গবেষকরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা তাদের জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এসকেবি/এএটি