সরেজমিনে কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, কলেজের ২১টি শ্রেণিকক্ষেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষক লেকচারে প্রয়োজনীয় অংশ স্লাইডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুঝাচ্ছেন।
কলেজের হিসাব শাখার আনোয়ার হোসেন রানা বাংলানিউজকে বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে সনাতন পদ্ধতিতে পাঠদান সম্ভব নয়। কলেজের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে শ্রেণিকক্ষগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের তমা কর্মকার বলেন, শুধু মাত্র হোয়াইট বোর্ডের মাধ্যমে সব কিছু উপস্থাপন করা সম্ভব হয় না। আমাদের শ্রেণিকক্ষ ডিজিটাল করার ফলে আগের চেয়ে আমরা বেশি উপকৃত হচ্ছি।
বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী রোকসানা ইসলাম বলেন, শ্রেণিকক্ষ ডিজিটাল করার কারণে শিক্ষকরা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে সবকিছু ভালভাবে বুঝতে সুবিধা হচ্ছে। গতানুগতিকভাবে ক্লাসে পাঠদান করা হলে শ্রেণিকক্ষে অনেকের মনোযোগ থাকে না। এখন ডিজিটাল হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের চিত্রের সাহায্যে সহজে বর্ণনা করা যায়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাতিমা সুরাইয়া বলেন, শ্রেণিকক্ষ ডিজিটাল করার ফলে আমরা পাঠদানকে আধুনিক বিশ্বের কাছাকাছি নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। আগে ছিলো শুধু লেকচার মেথড। এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের চিত্র, ভিডিওয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেখাতে পারছি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা বিশ্বের যেকোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষণ পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই লেকচার শুনতে পারছে। শুধুমাত্র ডিজিটাল করার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে গার্হস্থ্য অর্থনীতি থেকে ৫ বিভাগে সম্মান কোর্স চালু করা হয়। বিভাগগুলো হল খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্টারপ্রেনরশিপ, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক, শিল্পকলঅ ও সৃজনশীল শিক্ষা এবং বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/