মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যবিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বাংলানিউজকে জানান, তিন সদস্যবিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটির ফাইল ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ভবনের ডিন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ‘লোক সঙ্গীত’ বিষয়ের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের দশ মার্কসের মিডটার্ম পরীক্ষায় নকল করে পরীক্ষা দেন অংশ নেওয়া সাত পরীক্ষার্থী।
বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের এসব পরীক্ষার্থীদের খাতা পুড়িয়ে ফেলেন কলা অনুষদের ডিন ও সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোশাররফ শবনম।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৩১ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রক্টর জাহেদুল কবীরের নেতৃত্বে একটি পক্ষ সরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণে গড়িমসি করছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর জাহেদুল কবীর বলেন, যারা এসব কথা বলছে, তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। তবে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা এখনও আমি অফিসিয়ালি জানি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তপন কুমার সরকার বলেন, এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সভা করে ভিসি বরাবর রেজুলেশন জমা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনায় কোনো ক্ষমা নেই। ঘটনাটি তদন্তে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএএএম/আরআর