মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, সব জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
‘পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীর আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ ও আসন গ্রহণ নিশ্চিত করা, উক্ত সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না’।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোনসহ কাউকে পাওয়া গেলে তাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্নফাঁস রোধ করে প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনা রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই জরুরি প্রয়োজনে কেন্দ্র সচিব সাধারণ মানের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলে আসলেও সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসরোধে ইন্টারনেট ধীরগতিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। অবশ্যই সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের একদিন পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ৩০০ মোবাইল ও টেলিফোন নম্বর সনাক্ত করেছে, যেগুলো প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এই নম্বরগুলো বন্ধ করে দেওয়া ছাড়াও অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস