সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আখতার ফারুক ও মামুন আব্দুল কাইয়ুম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে ৪৭৬ তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গণযোগাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস ও আইন বিভাগের অধ্যাপক আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রদত্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।
তারা জানান, তদন্ত কমিটি এ দু’জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন। তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৭ আগস্ট ৪৭২তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের পিএইডি ডিগ্রি স্থগিতের দিন থেকেই পুনরায় কার্যকরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪৭২ তম সিন্ডিকেট সভায় এই দুই শিক্ষকের পিএইচডি থিসিস রচনায় অনৈতিক পথ অবলম্বনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল লতিফকে আহ্বায়ক করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর মো. ইসমাইল বলেন, আমরা তাদের থিসিস নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেছি। এতে তেমন অসঙ্গতি দেখতে পাইনি। তারা সচরাচর সোর্স থেকেই উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন। ফলে অনেকের মনে হয়েছে তারা জালিয়াতি করেছেন। কিন্তু আসলে তা নয়।
এর আগে অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে নামের খণ্ডিত অংশ ব্যবহার করে পিএইচডি গবেষণায় নকলের ইঙ্গিত করা হয়।
অন্যদিকে, আইন বিভাগের অধ্যাপক আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী জজ কোর্টের সাদেক মাশরুর নামের এক ব্যক্তি পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয় দুটি বিবেচনায় নিয়ে গত ২৭ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এসএস/আরআর