জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একর এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার প্রশাসন ভবনের সামনে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, 'গত বছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদনের ফি তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেশন চার্জ, হল চার্জ, সেমিস্টার পরীক্ষায় ফি বৃদ্ধি এবং পরিবহন খাতে ফি বৃদ্ধিসহ নামে বেনামে খাত তৈরি করে ফি আদায় করেছে প্রশাসন। ফলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। '
আন্দোলনকারীরা আরো জানায়, 'এবছর ভর্তির আবেদনপত্রের মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি করার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে গত বছরের চেয়ে এবার অর্ধেক আবেদন জমা পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অযাচিত ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমাদের প্রতিবাদে নামতে হয়েছে। '
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা রিজভী আহমেদ পাপন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পূর্ণ যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের ওপর টাকার বোঝা চাপিয়ে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করার পাঁয়তারা করছে। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত আমরা মানববন্ধন চালিয়ে যাবো। ২৩ অক্টোবর এর মধ্যে বর্ধিত ফি বাতিল না করলে ২৪ অক্টোবর থেকে আমরা ক্যাম্পাস অবরোধের মত বড় কর্মসূচিতে যাবো। '
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, 'এটা তো গতবছরের ইস্যু এবার তো কোনো ফি বাড়ানো হয়নি। তাছাড়া গত বছর যতটুকু বাড়ানো হয়েছে সেটা তো শিক্ষার্থীদের বিষয় মাথায় রেখেই বাড়ানো হয়েছে। হঠাৎ করে আগের ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অযৌক্তিক। আশাকরি শিক্ষার্থীদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। '
বাংলাদেশে সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
আরএ