মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানা যায়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আনোয়ার হোসেন।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে ভর্তির অভিযোগে গত ১৫ অক্টোবর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক ও উপ রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) শফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা অনুসন্ধান করতে গিয়ে জালিয়াতির সত্যতা পায়৷
কমিটির সদস্যরা জানান, আনোয়ার একই জেলার মিরপুর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের সনদ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই মুক্তিযোদ্ধার আনোয়ার হোসেন নামে কোনো নাতি নেই।
পরে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) জরুরি সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার ভর্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ার আমরা তার ভর্তি বাতিল করেছি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা একটি আদর্শিক কোটা। এ কোটায় জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়াটা গর্হিত অপরাধ। মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া অপরাধীদের ধরতে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
আরএ