তরী’ পথশিশুদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের স্কুলগুলোর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠদান করে থাকে। বর্তমানে প্রথম শ্রেণ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থী এখানে শিক্ষাগ্রহণ করছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০জন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দান করছে।
তরী পরিচালনা করতে কোনো সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোলামাঠে পড়াশোনা করাতে সমস্যা হয় না, তবে বৃষ্টির সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
তাছাড়া তরীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা ও জরুরি কোনো মিটিং করতে হলে কোনো জায়গা পাওয়া যায় না। টিএসসিতে যদি একটি রুম থাকতো তাহলে আমাদের সমস্যা সমাধান হয়ে যেতো। একইসঙ্গে কাজের গতি ও পরিধি বাড়তো।
তরীর সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, কেউ হয়তো বাদাম বিক্রি করে, কেউ চা-সিগারেট, কেউবা কাগজ-পানির বোতল কুড়ায়। তারাও এখন স্বপ্ন দেখে দেশের সম্পদ হবে, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসবে।
তরীর উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, সুবিধা বঞ্ছিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো বিকাশে তরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমরা চাই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তরীর মতো সংগঠন গড়ে উঠুক। যারা তরীতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে তারা একদিকে যেমন নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করছে তেমনি তার সঙ্গে তারা সমাজের প্রতি তাদের যে দায়বন্ধতা সে বিষয়ে সচেতন হচ্ছে। টিএসসিতে তরীর জন্য কোনো রুম বরাদ্দ করা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিএসসিতে রুমের সংকট তারপরেও তরীর জন্য একটি রুম বরাদ্দ দেওয়া জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
আগামীকাল শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ‘তরী’র দশকপূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে তরীর স্বেচ্ছাসেবীরা।
আর এই মহামিলনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৮
এএটি