শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুব জামিল সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের সাজা দেন। বাকি দুই জনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
** বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৪
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার বাহাদুরপুর গ্রামের জগদীশ বাড়ৈর ছেলে পরীক্ষার্থী সুদিপ্ত বাড়ৈকে সাত দিন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামের মতিন চৌধুরীর ছেলে অসিত চৌধুরীকে এক মাস ও একই উপজেলার লক্ষন্ডা গ্রামের মহাদেব বিশ্বাসের ছেলে মিঠুন বিশ্বাসে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২০২ নম্বর হল থেকে পরীক্ষার্থী সুদিপ্ত বাড়ৈকে ক্যালকুলেটরে ডিভাইসসহ আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনভর অভিযান চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আশপাশ এলাকা ও গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারক চক্রের চার জনকে আটক করা হয়।
বিকেলের দিকে আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ওই পরীক্ষার্থীসহ তিন জনতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় আটক অপর দু’জন উজ্জ্বল বিশ্বাস ও সুভাষ পোস্তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী সুদীপ্ত বাড়ৈ ক্যালকুলেটরে ভিতর ডিভাইস ঢুকিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এসময় শিক্ষকদের সন্দেহ হলে সুদীপ্ত বাড়ৈর শরীর তল্লাশি করে ক্যালকুলেটরের মধ্যে ডিভাইস পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি চক্রের আরও চার সদস্য আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানায়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার কারণে জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করলেও তা ব্যবহার করার আগেই তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
জিপি