ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এবার দুই বিভাগ এক না করার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
এবার দুই বিভাগ এক না করার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের বাম থেকে শিক্ষার্থীদের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হচ্ছে ও রক্ত দিয়ে রাস্তায় লেখা। ছবি: বাংলানিউজ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)  ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।  এবার দুই বিভাগ একীভূত না করার দাবিতে রক্ত ঢেলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিজ্ঞানের পাশের রাস্তায় মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।

এদিকে, বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, রাস্তায় রক্ত ঢালার জন্য রক্ত দিতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন- ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান, আবু বক্কর সিদ্দিক ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অরিন্দম সান্যাল দীপ্ত।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রথম বিজ্ঞান ভবনের পাশের রাস্তায় রক্ত ঢেলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা সিরিঞ্জ দিয়ে নিজেদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে সেই রক্ত রাস্তায় ছিটিয়ে দিচ্ছে। রক্ত ঢেলে তারা লিখেছেন-‘ইইইতে আসতে হলে রক্তের ওপর দিয়ে আসতে হবে। ‘উই ওয়ান্ট
জাস্টিস। ’

ইইই বিভাগের সভাপতি আবু জাফর মু. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দীর্ঘদিন ধরে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু প্রশাসন আজ পর্যন্ত বিষয়টির সমাধান দিতে পারেনি। বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু তারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ’

এর আগে, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে দুই বিভাগ একীভূত করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবারও (৪ ডিসেম্বর) তারা অনশন অব্যাহত রাখেন। পরে দুপুর ১টার দিকে বিভাগের শিক্ষক ও
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা অনশন স্থগিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকরা অনশনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। দাবি পূরণের বিষয়ে তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন ও কোমল পানীয় পান করান। পরে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা অনশন স্থগিত করে সেখান থেকে চলে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনশন কর্মসূচি চলাকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। তাদের দাবির বিষয়ে সভায় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করলে তারা অনশন স্থগিত করে। ’

প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর থেকে বিভাগ দু’টিকে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলো এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগের শিক্ষকরা তাদের আশ্বস্ত করলে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০ নভেম্বর ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই বিভাগকে এক না করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।