ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবি’র ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৪

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
শেকৃবি’র ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৪ আটক শিক্ষার্থীরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে চারটি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের মোহাম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর মধ্যে শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মো. ইকবাল মাহাবুব, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে রাশিদা আক্তার রজনী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক কেন্দ্র থেকে জয় পাল ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মাহিম খানকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে দুই থেকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে তারা জালিয়াত চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

আটক মাহিম খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম অয়নবের মাধ্যমে এ চুক্তি করি। বিনিময়ে তিনি চারলাখ টাকা চেয়েছেন। ’

জানা গেছে, জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত বেশকিছু পরীক্ষার্থী ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সহায়তায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কিন্তু তাদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কেন্দ্রে তা মানা হয়নি। আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টরে ত্রুটি থাকায় পাড় পেয়ে গেছেন অসাধু পরীক্ষার্থীরা।
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার আলী জানান, ‘সকাল দিকে কিছু শিক্ষার্থীকে তল্লাশি ছাড়া প্রবেশ করেছে শুনেছি। বিষয়টি কেন্দ্র প্রধানের কাছে জানতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ফোন নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তরা জালিয়াতির চেষ্টা করে। তাই আমরা চারজনকে আটক করে মোহাম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগর থানায় সোপর্দ করেছি। এদের কাছ থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য পাওয়া গেছে। প্রশ্নফাঁসের মূল হোতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত এমন সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, কোনো ধরনের অনিয়ম ছাড়া সবার সার্বিক সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের পরীক্ষায়ও অধিকাংশ মেয়ে। ছেলেদের সংখ্যা তুলনামূলক কম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ ১৫টি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় একযোগে পরীক্ষা শুরু হয়। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল এবং ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.sau.edu.bd তে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।