ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রেসিডেন্সিয়ালের সফলতা পিইসিতে, জেএসসি সন্তোষজনক 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
রেসিডেন্সিয়ালের সফলতা পিইসিতে, জেএসসি সন্তোষজনক  উল্লাস করছেন রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা (পিইসি)  পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে পিইসিতে চূড়ান্ত সফলতা পেয়েছে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এছাড়া অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করেছে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। 

উভয় ক্ষেত্রে শতভাগ পাসের পর জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪০ জন। যেখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৯৮ জন।

আর পিইসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৯ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩০০ জন।  জিপিএ-৫ না পাওয়া ওই শিক্ষার্থীর জিপিএ ৪ দশমিক ৮৩।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ফলাফল প্রকাশের পর এ বিষয়ে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশফাক ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছরই আমরা ভালো রেজাল্ট করার চেষ্টা করি। আমরা ভবিষ্যতে এই চেষ্টাটাই জারি রাখবো। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলবো,  যারা ভালো ফলাফল করেছে তাদের অভিনন্দন এবং যারা আশানুরূপ করতে পারেনি তারা যেন ভেঙে না পড়ে। তারা যেন এই চেষ্টা বজায় রাখে এবং ভবিষ্যতে যেন আরও ভালো করতে পারে।  

এদিকে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা সার্বিক ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ রিজন বাংলানিউজকে বলেন, রেজাল্টে আমি খুশি। পরিশ্রমের সঠিক ফলাফল পেয়েছি। আমি ক্লাস নাইনে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চাই ও ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই। আর আমার এ অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মায়ের।  

রিজনের মা রিমি আখতার বলেন, মায়েদের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকে না। ছেলে অনেক পরিশ্রম করেছে, আমারও অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, আর শিক্ষকদের নির্দেশনা তো ছিলই। সবশেষে ছেলের ফলাফলে আমি খুশি।

এদিকে তাসিনুল হক নামের জেএসসিতে ‘এ’  প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীর মা ছাকিনা আলম বাংলানিউজকে বলেন, সৃজনশীল প্রশ্নের কোনও নির্দিষ্ট ধরন নেই। যে কারণে প্রশ্ন কেমন আসবে তা বোঝা যায় না,  এতে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বেশি পড়ে। এছাড়া সৃজনশীল প্রশ্ন থাকায় একেক শিক্ষকের নম্বর দেওয়ার মনমানসিকতা একেক রকম থাকে। শিক্ষার্থীরাও উত্তর নিজেদের মতো করে লেখে। যে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের ধরন ধরতে পেরেছে তারা ভালো করেছে।  

তবে অন্যবারের মতো এবার স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের উল্লাসে মেতে থাকতে দেখা যায়নি। কেননা স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের তেমন একটা উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি।  

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশফাক ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন,  এখন নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চলছে। প্রশিক্ষণ হচ্ছে ও ভোটকেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুতি চলছে। স্কুল ও কলেজের সমস্ত কার্যক্রম শেষ ও সবাই ছুটিতে। হোস্টেলও খালি। তাই শিক্ষার্থীরা নেই। না হলে অনেক উল্লাস থাকতো। আর আমাদের ওয়েবসাইটে বা অনলাইনে রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।