ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ডাকসুর ভোটার-প্রার্থী’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
‘নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ডাকসুর ভোটার-প্রার্থী’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসুর) গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়েছে। নির্বাচনে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা প্রার্থী ও ভোটার হতে পারবেন বলে মতামত দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ক্রিয়াশীল ছাত্র সংঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেয়।

তারা তাদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। একটি ক্ষেত্রে সমঝোতায় এসেছে। নির্বাচনে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা প্রার্থী ও ভোটার হতে পারবেন। তবে নিয়মিত শিক্ষার্থী বলতে কী বোঝায় এ নিয়ে সংযোজন-বিয়োজন, মতপার্থক্য থাকতে পারে।

মানবাধিকার কমিশনের সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর এবং সেহেতু কীভাবে একটি সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারি, সে লক্ষ্যে গঠিত কমিটি কাজ করছে। এ কমিটিকে দশ কর্ম দিবসের মধ্যেই মতবিনিময় সভার প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের কোথায় কোথায় সংশোধন করা দরকার, সে বিষয়ে সুনিদির্ষ্ট মতামত দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা।

ডাকসুর গঠনতন্ত্র ‘যুগোপযোগী’ করতে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ১৩টি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এসময় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দীকী, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব দাস, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি চন্দ্র নাথ পাল ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাহাত, ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক তমা বর্মন, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা বৈঠকে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেছি। আমরা চাই সব সংগঠন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি তাদের (ছাত্রদল) মতাদর্শ গ্রহণ করে তবে তারা ক্যাম্পাসে আসতে পারবে, কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না।

ছাত্রদল সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা করবে। সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে তারা নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন বলে জানান। এছাড়া, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা যৌথ বিবৃতিতে জানান, ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক, সামাজিক বিনোদনের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া, ডাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রে সভাপতির (ভিসি) একচেটিয়া ক্ষমতা পরিবর্তনেরও প্রস্তাবনা রাখেন তারা।

অপরদিকে, কর্তৃপক্ষ ছাত্র সংগঠনগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে লিখিত সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।