ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পবিপ্রবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
পবিপ্রবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারী ছাত্রদের স্থায়ী বহিষ্কার ও নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষকেরা।

এর আগে রোববার বিকেলে অভিযুক্তদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষক সমিতি।

কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা-১ আবাসিক হলের গণরুমে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন করা হচ্ছিল।

বিষয়টি নজরে এলে এর প্রতিবাদ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশায়েদুল ইসলাম সাদী ওই হলের সহকারী প্রভোস্ট আব্দুর রহিম ও সুজন কান্তি মালীসহ কয়েকজন শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় রোববার বিকেলে শিক্ষক সমিতির এক জরুরি বৈঠকে অভিযুক্তদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি স্মারকলিপির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর সোমবার সকাল থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস ও বিভিন্ন অনুষেদের পূর্বনির্ধারিত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন।

এ ব্যাপারে পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশায়েদুল ইসলাম সাদী বলেন, ওই দিন নবীন শিক্ষার্থীদের সামনে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের কান ধরে উঠবস করানো হয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে হলের একজন সহকারী প্রভোস্ট আমার পরিচয় জানতে চান। এসময় তিনি নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বড় ক্যাডার দাবি করলে আমি তাকে ক্যাডার হিসেবে হলে আসতে নিষেধ করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হোসেন বলেন, ঘটনার দিন ‘উশৃঙ্খল’ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের ওই নেতা সাত/আটজন শিক্ষকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। একপর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষকদের গালাগাল করেন। দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। তা না হলে শিক্ষকরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখবেন।

পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, এ ঘটনায় কৃষি অনুষদের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।