প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠার এ বিশদ অভিযোগপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেও (ইউজিসি) জমা দেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রটি এসব দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল-উল ইসলাম।
অধ্যাপক সুলতানুল-উল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৩০০ পৃষ্ঠার এ অভিযোগপত্রে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১৭টি খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রমাণও এতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে রয়েছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং দুর্নীতি করে নিজ কন্যা ও জামাতাসহ বিভিন্ন বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে কম যোগ্যদের শিক্ষক নিয়োগ, উপাচার্যের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে অসত্য তথ্য দিয়ে অবৈধভাবে অবসরগ্রহণ ও পুনরায় দায়িত্ব পালন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে উপ-উপাচার্য নিয়োগ এবং তার নিয়োগ বাণিজ্য, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি, বিভিন্ন বিভাগে সভাপতি নিয়োগে অনিয়ম, উদ্দেশ্যমূলকভাবে অফিসার, সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের নিয়োগ নীতিমালার পরিবর্তন এবং গণহারে অযোগ্যদের এডহক নিয়োগদান, উন্নয়নে সমন্বয়হীনতা ও অর্থের অপচয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়কদের দায়মুক্তি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্স পরীক্ষার ফল পরিবর্তন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের প্রকল্প বাস্তবায়নে অনীহা ও বাধা, দুষ্কর্মে সহযোগী না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনিরকে নিপীড়ন ও বেআইনিভাবে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব হতে অব্যাহতি, মাস্টার প্ল্যান তৈরি প্রকল্পে দুর্নীতি, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিপীড়ন ও অত্যাচারসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এসএম একরাম উল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত আমরা জমা দিয়েছি। আমাদের তৈরি তালিকায় এসব অভিযোগ ছাড়াও উপাচার্যের বর্তমান ও অতীতের বেশ কিছু অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এসএইচ