মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। ক্যাম্পাসে শীতকালীন ছুটি চলাকালীন ‘সন্ত্রাস ও নিপীড়ন বিরোধী ঐক্য’র ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা নুর আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানিরা আমাদের নারীদের ধর্ষণ করেছে। আমরা ৩০ লাখ শহীদ ও হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সেই স্বাধীন দেশটি ৫০বছর পূর্তির সময় দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ধর্ষিত হয়; তাহলে একজন কৃষকের মেয়ের কী অবস্থা? একজন শ্রমিকের মেয়ের কী অবস্থা হতে পারে?
তিনি আরও বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে দাঁড়াইনি, আমি দাঁড়িয়েছি কেননা আমারও ৪টি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার একটি মেয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে, সে কতটুকু নিরাপদ? রাস্তায় নিরাপদ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয় এমনকি নিজ গ্রামেও নিরাপদ নয়। তাহলে তারা কোথায় যাবে? বর্তমান সময়ে কোনো মেয়ের বাবা তার মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্বস্তিতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না।
মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সব ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘অন্যের বোনের ধর্ষণে কাঁদে না তোর মন’, ‘কেমন হবে যেদিন দেখবি ধর্ষিত তোর বোন’-সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়।
এসময় অন্যদের মধ্যে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোরশেদুল ইসলাম। এতে সঞ্চালনা করেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চ’র আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এসএইচ