ঢাকা: রাজধানীর বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনহীন শ্রেণি শাখায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি না করানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
রোববার (১৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন রাজধানীর কতিপয় নামি দামি স্কুল সরকারের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেরা ইচ্ছা মাফিক বিভিন্ন ক্যাম্পাস ও শ্রেণি শাখা খুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করায় ও শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে বছরের পর বছর শিক্ষা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অভিভাবক ফোরামের জরিপ মোতাবেক রাজধানীর বেশ কয়েকটি নামকরা স্কুলের প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শতশত শ্রেণি শাখা অনুমোদন নেই। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে ব্যাপক তথ্য থাকা উচিত। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সন্নিকটে অবস্থিত রাজধানীর এসব নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। এছাড়া অনুমোদনহীন এসব শাখার বিপরীতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করছে। অথচ এতে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা উপকৃত হচ্ছেন না। বরং এসব অবৈধ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য মাসে মাসে অতিরিক্ত টিউশন ফি গুনতে হচ্ছে।
তিনি সরকারি উদ্যোগে দ্রুত বেসরকারি স্কুলগুলোর অনুমোদনহীন শ্রেণি শাখাগুলো চিহ্নিত করে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, করোনাকালে স্কুলগুলো নয় মাস ধরে বন্ধ আছে। করোনার কারণে এরই মধ্যে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। করোনাকালে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় লটারির মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে হবে। যেহেতু এ বছর অটো প্রমোশনে সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা ওপরের শ্রেণিতে উঠবে। সেহেতু দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো শ্রেণিতেই আসন খালি থাকবে না। আসন খালি না থাকলে কোনো ক্লাসেই শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি গঠন করে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করার দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস