ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হলে থেকে পরীক্ষা দিতে চায় শাবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
হলে থেকে পরীক্ষা দিতে চায় শাবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবি (সিলেট): আসন্ন অনার্স ও মাস্টার্স চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা হলে থেকেই সম্পন্ন করতে চান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এসব পরীক্ষা।



মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্স পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে, আবাসিক হল বন্ধে রেখেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে অল্প সময়ে নতুন করে মেস নেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে এখন একসঙ্গে দুই সেমিস্টারের ফি পরিশোধ করতে হচ্ছে। সঙ্গে মেস ভাড়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে।  

এদিকে করোনায়ও ক্যাম্পাস বহির্ভূত আমীর কমপ্লেক্স, ফজল কমপ্লেক্সের মতো মেসগুলোতে ভাড়া দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাই এ সময়ে সবকিছু বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাছে হল খোলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

তাছাড়া বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতি আরও বেগবান হচ্ছে তাই এ অল্প সময়ে নিরাপদ ও মানসম্মত মেস পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। মেস মালিকরাও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। সুতরাং আবাসিক হলগুলোতে পরিকল্পিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে অবস্থান করা সম্ভব এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি হল খোলে দেওয়া।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরাও হল খোলাসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে দুই দিনের সময় বেধেঁ দিয়েছেন।  

এ বিষয়ে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে অনলাইনে আলোচনা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি। যদি নির্দেশনা আসে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা একা চাইলে হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে দূর-দূরান্ত থেকে আগত মেয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে আবসন সমস্যায় না পড়ে সেজন্য বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।