ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বেড়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বেড়েছে

ঢাকা: চাকরি না হওয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় যাতে পাস করা শিক্ষার্থীরা না পড়েন সে কারণে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

রোববার (১০ অক্টোবর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ সোসাইটির যৌথ উদোগে ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে ওয়েবনিয়ারে তিনি একথা বলেন।

মাকসুদ কামাল বলেন, অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে থাকার কারণে করোনাকালে সবার মানসিক চাপ বেড়েছে। মানসিক চাপ সইতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহুতি দিয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় যাতে না পড়ে, সে কারণে আমাদের যে শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হচ্ছে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের বৈষম্যটা করোনাকালে স্পস্ট হয়েছে। যেসব দেশ যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত তারা যেভাবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে সেটি আমাদের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারিনি।

শিশুদের যে বিকাশ তা বর্তমানের যান্ত্রিক সমাজে হচ্ছে না জানিয়ে মাকসুদ কামাল বলেন, সে কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে। আর সেজন্য উৎপাদনশীলতা কমছে। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মনোযোগ দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, মানুষের শারীরিক এবং মানসিক স্বাভাবিকতাকে স্বাস্থ্য বলে। মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে শারীরিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত। যে শিশু জন্মেছে তার একটা সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি জানান, দেশে প্রতিবছর এক কোটি ২০ লাখ মা গর্ভবতী হয়। এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৪৭ হাজার মাকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মায়েদের ভাতা ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যাতে শিশুদের যথাযথ বিকাশ হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে মানসিকভাবে ফিট রাখতে হবে। তা না হলে উৎপাদন বাড়বে না। প্রত্যেক মানুষকে ফিট থাকতে হবে। তাতে নিজের এবং দেশের উন্নতি হবে।

দেশে প্রায় তিন কোটি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে ৮ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শামীম আক্তারের সভাপতিত্বে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।