ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শাবিপ্রবির ঘটনায় জবিতে প্রতীকী অনশন, ছাত্রলীগের বাধা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
শাবিপ্রবির ঘটনায় জবিতে প্রতীকী অনশন, ছাত্রলীগের বাধা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী অনশন করেছে শিক্ষার্থীরা। তখন অনশনে বাধা দেয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও নির্বিকার ভূমিকায় ছিলেন বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, শাবিপ্রবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতীকী অনশনের ডাক দেয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা বেলা ১২টা থেকে কর্মসূচিতে বসে। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজ হোসাইনসহ একদল ছাত্রলীগ কর্মী প্রতীকী অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্লাকার্ড ছিড়ে ফেলে। এসময় শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি পন্ড হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে উভয় পক্ষকে তিনি প্রক্টর অফিসে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় প্রক্টর বরাবর শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিতে চাইলে, তিনি অভিযুক্তদের মাফ করে দিতে বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আশফাক শরিফ বলেন, শাবিপ্রবি ভিসি তার নিজ পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছে। আমরা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থী বান্ধব ভিসি চাই এবং শিক্ষার্থীদের যে কোনো যৌক্তিক আন্দোলনে সবসময় আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। যে ভিসি গুন্ডা পোষে, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা করায়, এমন ভিসি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে না হোক।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, আমরা ভিসি ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশনে বসলে ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী আমাদের পোষ্টার প্ল্যাকার্ড ছিড়ে ফেলে। একই সঙ্গে আমাদের অনশন তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের এরুপ আচরণ এটাই প্রকাশ করে, তারা গুটি কয়েক শিক্ষার্থীকে ভয় পেয়ে ভিসি ফরিদের তোষামোদ করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ও একই সঙ্গে ভিসি ফরিদের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানাই।

তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমি শুনেছি ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থী অনশনে বসেছিল। তবে সেখানে এরপর কি হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা শিক্ষকরা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছি।

ছাত্রলীগের কর্মীদের দ্বারা প্ল্যাকার্ড ছেড়ার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, এরকম কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আমি কিছু জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।