ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষককে কলেজে ঢুকতে বাধা অধ্যক্ষের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
শিক্ষককে কলেজে ঢুকতে বাধা অধ্যক্ষের

কুমিল্লা: শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনার পরও এক শিক্ষককে যোগদান করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার গোপালনগর আদর্শ কলেজে এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি)  ওই শিক্ষক কলেজে যোগদান করতে গেলে তাকে বের করে দেন অধ্যক্ষ।

সূত্রমতে, ২০১৮ সালে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে। এরপর চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি। মানবেতর জীবনযাপন করেছেন দীর্ঘদিন। সর্বশেষ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যথাযথ হয়নি মর্মে তাকে স্বপদে বহাল রাখার নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, ২০০৬ সাল থেকে তিনি গোপালনগর আদর্শ কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান মজুমদার সোহেল তাকে  মিথ্যা অভিযোগ এনে কলেজ থেকে বহিষ্কার করেন। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করে খারিজ করে দেয়। বহিষ্কার আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে আরেকটি রিট করেন। হাইকোর্ট কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডকে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বহিষ্কার আদেশের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলে। পরে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড তদন্ত করে গত ১৩ জানুয়ারি  তার বহিষ্কার আদেশ বিধিবহির্ভূত ঘোষণা করেন। এরপর তিনি কলেজে যোগদান করতে গেলে অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান মজুমদার যোগদান করতে বাধা দেন।

এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে গোপালনগর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান সোহেল জানান, হুমায়ুন কবির আরও দুইটি কলেজে চাকরি করছেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগও আছে। তাই গভর্নিং বডি তাকে বহিষ্কার করেছে। বোর্ডের তদন্তেও সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুছ সালাম বলেন, অধ্যক্ষের বক্তব্যটি পুরোপুরি মিথ্যাচার। বোর্ডের রায়ে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কোনো শিক্ষককে বরখাস্ত করতে হলে বোর্ডের অনুমতি প্রয়োজন। গভর্নিং বডি ও অধ্যক্ষ তা না করে সরাসরি তাকে বহিষ্কার করে। এটা নিয়মের লঙ্ঘন।  আমরা প্রয়োজনে ওই কমিটি ভেঙে দেবো। হুমায়ুন কবির চাইলে আইনি প্রক্রিয়ায় আগাতে পারেন। আমাদের সিদ্ধান্ত, হুমায়ুন কবির স্বপদে বহাল থাকবেন।

ব্রাহ্মণপাড়ার নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, যদিও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বোর্ড থেকে কোনো চিঠি পাইনি, তারপরও আমি বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন হুমায়ুন কবিরের চাকরিতে যোগদানে সমস্যা নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি ওই শিক্ষকের সঙ্গে অন্যায় হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।