ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন 

ঢাকা: নতুন কারিকুলাম আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মাধ্যমিক স্তরে ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হলেও প্রাথমিকে তা মার্চ থেকে শুরু হবে।

আর নতুন কারিকুলামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন কাটাতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আগে ছুটি ছিল শুধু শুক্রবার, এখন শনিবারও ছুটি থাকবে।  

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানায়, ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করার কথা। আর ২০২৩ সাল থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলাম ট্রাইআউট ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। প্রাথমিকে মার্চ থেকে শুরু হবে। মাধ্যমিকে ৬২টি এবং প্রাথমিকেও একই সংখ্যায় করার কথা রয়েছে।

মহামারির ছুটির আগে ও পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটিগুলো এখনো আছে। সাপ্তাহিক ছুটিও দুই দিন। এ বিষয়ে দুষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে শনিবার ছুটি রাখেন না। এখন থেকে রাখবেন সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি, একজন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর সপ্তাহে দুটা দিন..., একটু যদি ব্রেক না হয়। এখন তো কম সময়ে ক্লাস করছিল তারপরও একটু ব্রেকটার দরকার আছে। সেটাকে যদি বাদ দিয়ে দিতে পারতাম, তাহলে কয়েকটা দিন বেশি পেতাম। মাসে চারটা দিন বেশি পেতাম সেটা ঠিক। আবার ধর্মীয় কিছু ছুটি আছে, নানা রকম বিষয় আছে।

তিনি বলেন, আমাদের যেগুলো জাতীয় দিবস, সেই দিনে খুলে রাখার কথা ভাবিনি। জাতীয় দিবসে অনেক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হয় না। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রিকভারি প্ল্যানের মধ্যে যদি দেখি যেকোনো জায়গায় দিন কমালে আরও বেশি সুবিধা হবে, সেটা ভেবে দেখব। কিন্তু ঢালাওভাবে ভাবতে পারছি না। কারণ যারা কাজটি করেন তাদেরও তো সঠিকভাবে ডেলিভারি দিতে হবে। অনলাইনের চাপটাও আছে। শিক্ষকেরা ক্লাসেও পড়িয়েছেন আবার অনলাইনেও ক্লাস নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
এমআইএইচ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।