ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবি শিক্ষকের ‘যৌন হয়রানি’, বিচার চেয়ে একাই দাঁড়ালেন ছাত্রী 

জবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
জবি শিক্ষকের ‘যৌন হয়রানি’, বিচার চেয়ে একাই দাঁড়ালেন ছাত্রী 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন এক ছাত্রী।  

এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একাই প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিকার দাবি করেন।

এর কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। বিষয়টি ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগপত্রে বলেন, ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর দুপুরে সেই ছাত্রীকে ফোন করে নিজ অফিসে দেখা করার জন্য বলেন ওই শিক্ষক। পরে ওই ছাত্রী শিক্ষকের রুমে যান। প্রাথমিক আলাপচারিতার একপর্যায়ে সেই শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করার কথা বলেন এবং নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে ছাত্রীর ঘাড়ে হাত দিয়ে মাস্যাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় ছাত্রী সরে যেতে চেষ্টা করলে আবারও তাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরেন ওই শিক্ষক। ওই ছাত্রী পুলিশের কথা বললে শিক্ষক তাকে ছেড়ে দেন।  

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা ব্যাহত হওয়ার পর থেকে তার অন্য সহপাঠীদের পরীক্ষায়, অ্যাসাইনমেন্টে, মিডটার্ম পরীক্ষায় বেশি নম্বর দিয়ে গ্র্যাজুয়েশন ফিল্ম নির্মাণে প্রডিউসিং করার মতো প্রলোভন দেখাচ্ছেন। এছাড়া তাকে সব পরীক্ষার, অ্যাসেসমেন্ট ও অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর কম দিয়ে থাকেন। বিভাগে এসব বিষয় প্রতিনিয়ত ঘটছে। এতে করে তার শিক্ষাজীবন চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, আমাকে এখন বিভাগ থেকেও সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। এতে আমার শিক্ষাজীবনও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। আমি ওই শিক্ষকের বিচার চাই। একই সঙ্গে শিক্ষাজীবনের নিশ্চিয়তা চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।