ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাবিপ্রবি প্রশাসনিক ভবনে তালা, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২২
পাবিপ্রবি প্রশাসনিক ভবনে তালা, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

পাবনা: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রক্টর হাসিবুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৭  মার্চ) দুপুরে প্রক্টর অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টর হাসিবুর রহমানকে দুর্নীতিবাজ, অদক্ষ ও ব্যর্থ উল্লেখ করে পদত্যাগ দাবিতে শ্লোগান দেন।   এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক মূল ভবনের ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন করেন তারা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, প্রক্টর হাসিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী বিতর্কিত উপাচার্য এম. রোস্তম আলীর সব দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রধান সহযোগী। নীতি নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ক্রয় সংক্রান্ত দূর্ণীতি ছাড়াও, নিজে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় লেকের মাছ লুট করেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিরপত্তা, খাবারের মান বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে তিনি কখনই নেননি। তারা প্রক্টরের পদত্যাগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যারয়ের অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত  করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে পাবিপ্রবিতে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরাসহ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে অসছেন। গত রোববার (৬ মার্চ) দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন  কাজের তেমন অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা শুধু নিয়োগ বাণিজ্য, আর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছুড়াছুড়ি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেন না। ভিসির কক্ষে মুঠোফোন নিয়ে ঢোকা নিষেধ ছিল। ক্যাম্পাসে অলিখিত ভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশে বাধা দেওয়াসহ কোনো ধরনের সংবাদ পরিবেশনে সহযোগিতা করতেন না কেউ। এক ‘রাম রাজত্ব’ কায়েম করেছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী। দীর্ঘদিন ধরে উপ-উপাচার্যের পদ খালি।

করেনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সীমিত পরিসরে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলেছে। ভিসি তার জন্য বরাদ্দকৃত বাংলোতে থাকলেও সেখানে আরও বেশ কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তাকে কক্ষ ভাড়া দিয়েছিলেন। মেয়াদকালের শেষ দিকে তার নামে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। বর্তমানে অভিভাবকহীন ভাবে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চান শিক্ষক-কর্মচারীসহ সবাই। দ্রুততম সময়ে উপাচার্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন সবাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ৭ মার্চ, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।