ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত রাবি শিক্ষার্থী

রাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত রাবি শিক্ষার্থী

রাবি: গভীররাতে ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছুরিকাঘাতে তার বাম পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।  

বুধবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমজাদের মোড়ের এনআর ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা মো. তারেক নূর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

আহত সাফফাত নায়েম নাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা মো. তারেক নূর বলেন, বুধবার রাতে নাফি নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ছুরিকাঘাত করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত। তবে নার্ভের উন্নত চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের দ্রুর আটক করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের সঙ্গে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শরীফ নামে এক শিক্ষার্থী এন আর ছাত্রাবাসে থাকতেন। ওই মেসে সকলের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক ছিল। রুমে নামাজ পড়ার জন্য কতৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন হতো। শরীফের পরীক্ষা থাকায় তিনি রুমে নামাজ পড়তেন। এ নিয়ে মেসে থাকা কিছু বর্ডারের সঙ্গে তার বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে শরীফ মেস মালিকের কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সভা ডেকেছিলেন মেস কর্তৃপক্ষ। সেখানে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অনেকের সঙ্গে নাফিও ছিলেন। সভার শেষ পর্যায়ে কিছু স্থানীয় ছেলে সভায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং সবাই বের হয়ে যায়। নাফি বের হতে না পারায় তাকে ধরে ফেলে। তার হাতে ও পায়ে এলোপাতাড়ি চাকু মারে। এতে অনেক রক্তক্ষরণে গুরুতর আহত হোন তিনি।  

নাফির সহপাঠী রায়হান আলী বলেন, নাফি এখন আশংকামুক্ত আছে। কিন্তু অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। হাতের কব্জির কাছে কিছু জায়গায় ক্ষত হয়েছে। সেটা ব্যান্ডেজ করা আছে। আর পায়ের উরুর নিচে বেশ কয়েক জায়গায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যার ফলে বাম পা কিছুটা অসাড় অনুভব করছে।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, আহত শিক্ষার্থীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে আমার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।


বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।