ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়ক অবরোধ কুবি ছাত্রীদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়ক অবরোধ কুবি ছাত্রীদের

কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা সমাধান ও দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের কাজ শেষ না করার প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।  

শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো, ডাইনিংয়ে ক্যন্টিন ব্যবস্থা চালু, প্রতিরুমে অনধিক চারজনের সিট বরাদ্দ, অবিলম্বে নতুন হল চালু, ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও পানির সমস্যা সমাধান করা।  

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিনদিন ধরে হলে বিদ্যুৎ ও পানি না থাকলেও প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাছাড়া, হলে ওয়াইফাইয়ের ধীরগতি, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের কাজ কাজ শেষ না করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন তারা।  

শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী ও পদার্থ বিজ্ঞান ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী অপর্ণা নাথ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এসব সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করতে চেয়েও কোনো সাড়া পাইনি। বিদ্যুৎ প্রকৌশলীকে ফোন দিলে তিনি ‘চাকরি গেলে যাক’ বলে কল কেটে দেন।  

এদিকে বিদ্যুতের অভিযোগ জানানোয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাকির হোসেনে খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা। তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় আন্দোলনের এক পর্যায়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন তারা। পরে জাকির হোসেন আন্দোলনস্থলে এসে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে শিক্ষার্থীরা রোববারের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি পূরণের পদক্ষেপ ও উপাচার্যের সঙ্গে বসার আশ্বাসে প্রায় তিন ঘণ্টার আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা হওয়ায় ঠিক করার পরও আবার নতুন সমস্যা তৈরি হয়।  

সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা শুরু হওয়ার পরই আমরা বিভিন্ন জায়গা পরীক্ষা করে ঠিক করেছি। কিন্তু গেটের (প্রধান ফটক) কাজ করায় মাটির নিচের লাইনে সমস্যা হয়েছে। আমরা সেটাও ঠিক করেছি। কিন্তু ততক্ষণে তারা (শিক্ষার্থীরা) আন্দোলনে নেমে গেছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ সাদেকুজ্জামান তনু বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি আমার দায়িত্ব সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রোববার বসে তাদের সকল দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করবেন উপাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।