ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবি লেকের মাছ গায়েব!

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
ইবি লেকের মাছ গায়েব!

ইবি: কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একমাত্র লেকটির মাছ ধরে নিয়ে গেছেন স্থানীয়রা।

রোবিবার (৩ এপ্রিল) রাতে ও দিনে দফায় দফায় মাছ ধরে নিয়ে গেছেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিয়ে এস্টেট অফিস কিছুই জানে না। যা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে। এমনটি দাবি করেছেন এস্টেট অফিসের প্রধান টিপু সুলতান।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র লেকটির খনন কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য লেকের প্রায় ৪০টি গাছও কাটা হয়েছে। লেকটি খননের আগে মাছ ধরার জন্য কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে কমিটি মাছ ধরার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো লেকে মাছ ছিল না বলে জানায় প্রশাসন।

তবে সরেজমিন এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। সংস্কারের জন্য লেকের পানি নিষ্কাশন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন লেক থেকে রাতে এবং দিনে দফায় দফায় মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। শোল, গজার, দেশি মাগুর, শিং, টাকি, কৈ, খলসেসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয়রা লেক থেকে এসব মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ এসেছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দলে দলে লেক থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘লেকে দেশি ও কার্প জাতীয় অনেক মাছ ছিল। পানি নিষ্কাশন করে এসব মাছ ধরলে অন্তত আট থেকে ১০ মণ মাছ হতো। ’

জানা যায়, এর আগে ২০১৮ সালের দিকে লেক থেকে মাছ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এস্টেট অফিসের তত্ত্বাবধানে দুই দফায় প্রায় আট-নয় মণ করে দেশি, কার্প জাতীয় মাছ ধরা হয়। যা প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।  
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সাবেক প্রধান সাইফুল ইসলাম জানান, এর আগে আমরা দুইবার করে মাছ বিক্রি করি। যেখানে প্রায় ১২-১৩ মণ মাছ ধরা হয়। যা আনুমানিক ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। পরে সেখানে সরকারি অর্থায়নে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এস্টেট অফিস প্রধান টিপু সুলতান বলেন, নিয়মানুযায়ী লেকের মাছ তদারকির কাজ এস্টেট অফিসের। তবে আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রক্টর এ ব্যাপারে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের হস্তক্ষেপ নিতে নিষেধ করেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাছ ধরার জন্য কমিটি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু কমিটি মাছ ধরার জন্য লেকে গেলে কোনো মাছ পায়নি। শুনেছি, কিছু মাছ মরে ভেসে আছে লেকে। কারা মাছ ধরেছেন, শুনে কমিটিকে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা মাছ পাননি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।