ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হাসনাতের অনশন ভাঙালেন ঢাবি উপাচার্য, দাবি পূরণের আশ্বাস

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
হাসনাতের অনশন ভাঙালেন ঢাবি উপাচার্য, দাবি পূরণের আশ্বাস

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তাদের শিক্ষার্থী হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধসহ আট দাবিতে অনশনরত হাসনাত আব্দুল্লাহর অনশন ভাঙালেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে পানি ও শরবত খাইয়ে অনশন ভাঙান তিনি।

এ সময় উপাচার্য হাসনাতের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এ মুহূর্ত থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে দাপ্তরিক কাজের জন্য আর রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে যেতে হবে না। সব কাজ হল ও বিভাগে সম্পন্ন হবে। সেখানে আমাদের লোকবল দেওয়া আছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচি শুরু করেন হাসনাত। অনশনের ২৭ ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বাস দিয়ে দাবি মেনে নেয়।

আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিরসনের জন্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষক-ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন করা এবং যেখানে সেবাগ্রহীতারা সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদির ভিত্তিতে অভিযোগ জানাতে পারবে।

প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটাইজড করা, নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিসসমূহের অভ্যন্তরে প্রতিটি রুমে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, প্রশাসনিক ভবনে অফিসসমূহের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করা, ডিসপ্লেতে অফিসসমূহের নাম, কক্ষ নম্বর ও সেখানে প্রদত্ত সেবার বিবরণী, দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম ও ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী প্রদর্শন করা।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক-বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতমূলক করা। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মানসিক সেবা প্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারসমূহের শরণাপন্ন হতে হবে।

অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত থাকতে পারবে না। সে নিরিখে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবসমূহে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণা পরিবেশবান্ধব করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যহানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
এসকেবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।