ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংখ্যালঘুদের যেন সমস্যা না হয়, ইসিকে মানবাধিকার কমিশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
সংখ্যালঘুদের যেন সমস্যা না হয়, ইসিকে মানবাধিকার কমিশন

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের যেন সমস্যা না হয়, তা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিশ্চিত করতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা জানি নির্বাচন একটা অধিকার। সাংবিধানিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রত্যেকের একটি অধিকার। নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া দেশের নাগরিকের একটি অধিকার। সেই অধিকারটি যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা আজকে এসেছিলাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমাদের সুন্দর মতবিনিময় হয়েছে।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বৈঠকে আমরা মূলত নির্বাচন পূর্বকালীন সময়ের আচরণ এবং কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচরণ এবং নির্বাচন পরবর্তীকালের আচরণ বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা অনেক সময় দেখেছি নির্বাচনী আচরণবিধির ভঙ্গ করেন অনেক প্রার্থী এবং কর্মীরা বিভিন্ন রকম উত্তেজনা সৃষ্টি করেন, মানুষের আস্থা অর্জন ব্যাহত হয়। এ ধরনের বিষয়টি যাতে না হয়, সেটা আমরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। ওনাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে অনেক সময় অনেক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। বিশেষ করে যারা সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য অথবা পঙ্গু বা অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেগুলো যাতে না হয় এবং প্রত্যেক প্রার্থী ও ভোটাররা যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বলেছি।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে সে বিষয়টি আমরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। অতীতের অভিজ্ঞতায় নির্বাচন পরবর্তী সময় অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছিল। বিশেষত ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে আমরা যে বিশাল সহিংসতা দেখেছি। এটা নিয়ে আমরা সব সময় অনেক উদ্বিগ্ন থাকি। ওই সময় অনেকে মৃত্যুবরণ করেছিল। অনেক নারীর সম্ভ্রম হরণ করা হয়েছিল। অনেকে কষ্টকর অবস্থায় পড়েছিল। এ ধরনের অবস্থা যাতে কখনোই না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ কৌশল নির্ধারণ করে এ কাজটি সম্পাদন করবে সে বিষয়টা আমরা বলেছি।  

কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে আমরা ভোটাধিকার বিষয় একটা নির্দেশনা বের করেছি। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা অংশীজন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন সাধারণ ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন যারা অংশীজন তারা যাতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের ভূমিকা যথাসাধ্যভাবে পালন করে। এ বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন দিয়েছি। আমরা চাই দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে জনসংযোগ করে যাচ্ছি এবং করে যাব। এবং আমি বিশ্বাস করি সেটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের আট সদস্যের প্রতিনিধিদল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।