ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

১৯৫ স্থানীয় নির্বাচন

আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিভিন্ন পদের ১৯৫টি উপ-নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে বুধবার (১০ জুলাই) মাঠে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার হোসেন এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপির শূন্য পদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের উপ-নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠানের জন্য সময়সূচি ঘোষণা করেছে ইসি। নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণার্থে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের জন্য একজন করে ১০ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ১৬ দিনের জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ জন করে ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোট তিন দিনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে উপ-নির্বাচনে প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ২ জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে উপ-নির্বাচনের জন্য ১ জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোট তিন দিনের জন্য নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কোনো ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান/সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের শূন্য পদে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা একজন হলে অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে সে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে না।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্য থেকে বা চাহিদা অনুসারে নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতব্য মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স বিশেষ করে বিজিবি/কোস্টগার্ডের মোবাইল টিমের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তবে স্থানীয় চাহিদা, ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা বাড়ানো-কমানো করা হলে তদানুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।